শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নববধূকে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্কঃ বগুড়া শাজাহানপুরের এক নববধূকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে গত বুধবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-৬ পি/২০১৮ । সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছে আদালত ।এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মামলা ও ধর্ষিতার স্বামী সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ ইং সালের ২৫ ডিসেম্বর শাজাহানপুর উপজেলার এক নববধু গাবতলী উপজেলার নিজ দূর্গাহাটা বুড়িতলা গ্রামে তার প্রতিবেশি মৃত: ওসমান আলীর পুত্র জ্যাঠাতো বড়ভাই দুই সন্তানের জনক মোঃ টিপু সুলতানের (৪০) বাড়িতে স্বামীসহ দাওয়াত খেতে যায়। খাওয়া দাওয়া শেষে নববধূর স্বামী পাশ্ববর্তী বাজারে চা-পান করতে যায় এবং টিপু সুলতানের স্ত্রী তার নিকটবর্তী শ্বশুর বাড়িতে রান্না করা খাবার দিতে যায়। এ সুযোগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে টিপু সুলতান আনুমানিক বেলা ৩ টার দিকে কৌশলে ওই নববধূকে তার শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেশীয়অস্ত্র চাকুর মুখে জিম্মি করে মুখে গামছা চেপে দিয়ে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে ধর্ষক টিপু সুলতানের স্ত্রী মোছাঃ সাথী বেগম বাড়িতে চলে আসলে ধর্ষিতা ঐ নববধূ তাকে ঘটনাটি জানালে সে কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে। ধর্ষিতা তখন প্রচন্ড রাগে ও ক্ষোভে কান্না করতে করতে পাশেই তার বাপের বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।তখন নববধূর পরিবারের সদস্য ও স্বামীসহ টিপু সুলতানের বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘটনার বিষয়ে বললে তিনি অস্বীকার করে।
এ সময় উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে টিপু সুলতান কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যরা ধর্ষিতার পরিবারকে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। লম্পট টিপু প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার বাপের বাড়ির লোকজন আপোষ-মিমাংসার প্রস্তাবে রাজি হলেও বাধ সাধে তার স্বামী। তিনি (ধর্ষিতার স্বামী) বিচারের দাবি নিয়ে গাবতলী থানাতে গেলে পুলিশ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় গত বুধবার ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে জেলা বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালত -২ এ টিপু সুলতানকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাবতলী থানার ওসিকে রেকর্ড করার আদেশ দেয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিপু সুলতানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো। গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাশার জানান, ঘটনাটি লোকে মুখে শুনেছিলাম । কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি। আদালতের আদেশের কপি থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । উল্লেখ্য, নববধু দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তান হওয়ায় বিয়ের পূর্বে ওই জ্যাঠাতো ভাই টিপুর বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করত।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com